গল্পঃ কালো বিড়াল | মোহন মিত্র
রনৌলি থেকে বনকুলে যাওয়ার পথটা বড় নির্জন। রনৌলি বাস স্ট্যান্ড থেকে যে রাস্তাটা পশ্চিম দিকে গেছে সেদিকে একটা হাটখোলা আছে। সপ্তাহে দুদিন হাট বসে। সোমবার আর শক্রবার। তারপরে আট দশটা বাড়ি নিয়ে একটা পাড়া। পাড়াটার নাম পশলা। পশলা থেকে বেরিয়েই অনেকটা ফাঁকা রাস্তা। দুই ধারে ধূধূ মাঠ। কিছুদুর এগিয়ে গেলে আসে একটা ছোট নদী। শীতকালে হাঁটুজল থাকে। লোকে শর্টকাট খুঁজতে হাটুজল পেরিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু বর্ষাকালে দু’কুল ছাপিয়ে যায়। তখন নদী পারাপারের জন্য গ্রামের লোকেরা বাঁশের পুল বানায়। জলের স্রোতে পুল কাঁপতে থাকে। হাতল হিসাবে ধরার জন্য থাকে দুধারে বাঁশের রেলিং। তার নীচ দিয়ে পা ফসকে পড়লে আর রক্ষে নেই। সেই পুল পেরিয়ে এলে পরে একটা গ্রাম, গোশালা। মাঝি, মাল্লা, ঢাকি, জেলে, এবং জন মজুর খেটে খাওয়া মানুষদের বাস। ছোট ছোট ঘর। কোথাও একচালা কোথাও দোচালা। গোশালা গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা। অবৈধ দখলে রাস্তাটা সরু এবং অত্যন্ত নোংরা। চারিদিকে নর্দমা, গোবর এবং আবর্জনায় থিকথিক করে। বিশ্রী গন্ধ। হেঁটে পার হতে দম বন্ধ হয়ে আসে। গোশালার পরে শুরু হয় ঘন আম বাগান, বাঁশ বাগান। এক’দেড় ফুট উঁচু মাটির রাস্তা। লোকে বলে সড়ক। দুধারে বড় বড় আম গাছ। কোথাও কোথাও বাঁশ ঝাড়। আম গাছের আসেপাশে নানা রকম ছোট ছোট জংলি গাছের ঘন ঝোপঝাড়। সন্ধ্যের পর সে রাস্তা দিয়ে যেতে হলে গা ছমছম করে। বাঁশের ঝাড়ে একটু হাওয়া লাগলেই নানা রকম আওয়াজ হয়। ঝির ঝির, শির শির, ক্যাঁচ ক্যাঁচ। জোনাকিরা এত ভিড় করে মনে হয় আকাশের তারারা মাটিতে নেমে এসেছে। আম বাগানের মধ্য দিয়ে একটু এগিয়ে এলে রাস্তার এক্কেবারে ধারে দেখা যায় একটা বিশাল অশ্বত্থ গাছ। হাওয়া না থাকলেও তার পাতা নড়তে থাকে, অদ্ভুত আওয়াজ বের হয় সেখান থেকে। এখনও আছে সে গাছ। সেই গাছের দক্ষিনে এক’শ গজ দূরে মুসলমানদের কবরস্থান। সেই কবরস্থান এবং অশ্বত্থ গাছ নিয়ে বহু কাহিনী বংশপরম্পরায় প্রচলিত আছে। সেগুলি আমরা অনেক শুনেছি। ছোটবেলায় সেখান দিয়ে যাবার সময় বড়রা রামনাম জপতে জপতে যেত আর আমরা ছোটরা তাদের জরিয়ে ধরে, প্রায় চোখ বন্ধ করে পার হতাম।
আসলে ওখানে এলেই মনে পড়ত, কে কবে কাকে হঠাৎ গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে দেখেছিল। কেউ আবার কাউকে গাছের উপরে বসে কাঁদতে দেখেছে। কখনও আবার কেউ কাউকে এগিয়ে দিয়ে গেল। কেউ আবার ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। সব চেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হোল সেই দেখতে পাওয়া লোকগুলো সবাই মৃত। তারাই নাকি কবরস্থান থেকে উঠে এসে এই সব করে। তার মানে এই সব ঘটনা ভূতের। সত্য বা মিথ্যা জানিনা। কিন্তু, আজও যখন গ্রামে যাই, সে স্থান এলে আমরা নিজের অজান্তে হঠাৎ যেন চুপ করে যাই, গা শিউড়ে ওঠে। উঠতি বয়সে যখন ভয়কে জয় করার উদ্দাম সাহস দেখানোর চেষ্টা করি, নিজেকে বড় প্রমান করার চেষ্টা করি, সে সময় আমরা একাই যাতায়াত করতে শুরু করি।
সাধারন ভাবে লোকেরা রনৌলি থেকে সন্ধ্যের পর বনকুলে ফিরলে একজন অন্তত সাথী খুঁজেই পথ চলতে শুরু করত। কিন্তু আমরা তখন গ্রামের উঠতি হিরো। তখন আমরা হাতের কনুই বাঁকিয়ে, কব্জিটা একটু ট্যারা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটি। যেমন মস্তানেরা হাঁটে আর কি! সে বয়সে আমাদের সাথী খোঁজার অর্থ হোল আমরা এই ভৌতিক কান্ডকারখানায় বিশ্বাস করি এবং প্রশ্রয় দিই। সেটা কিছুতেই বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে মানতে পারিনা। তাই সাহস দেখাতে অনেক সময় “এক্সট্রা কভার ড্রাইভ” মেরে বসি। সেই রকম একটা ঘটনার কথা বলি।
সরস্বতী পুজোর রাত। আমি তখন নবম শ্রেনীর ছাত্র। গ্রাম থেকে এক মাইল দূরে রনৌলিতে আমাদের কো-এডুকেশন স্কুল। বাড়িতে সরস্বতী পুজো হলেও স্কুলের পুজোয় ছাত্রদের থাকতে হত। তাছাড়া নিয়ম অনুযায়ী নবম শ্রেনীর ছাত্ররা পুজোর সম্পূর্ণ দায়ীত্বে থাকে। সেদিন আবার সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের নাটক ছিল। আমাদের সংস্কৃত পন্ডিতমশাইয়ের লেখা নাটক ভারতমাতা। আমি কনিষ্কর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। আমাদের গ্রামের একটা মেয়ে বুলু হয়েছিল ভারতমাতা। যেমনটা হয়, নাটক শুরু হয় সবার শেষে। শেষ হতে রাত প্রায় দশটা। ড্রেস চেঞ্জ করে যখন বাইরে এলাম আমাদের গ্রামের ছেলেরা এবং দর্শকদের প্রায় সবাই চলে গেছে। অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ভারতমাতা মুখের রঙ উঠিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে তখন আমার সাথে। আমরা দুজনে যাব বলে স্কুল থেকে বেরিয়েছি। দু’জন আছি তাই ভয়ের কিছু নেই। এমন সময় ধীরেনকাকা মানে বুলুর বাবা সাইকেল নিয়ে হাজির হলেন বুলুকে বাড়ি নিয়ে যেতে।
ধীরেন কাকা, “আর সবাই কোথায়? বুলু চলে আয় আমার সাইকেলে”।
বুলু আমার দিকে একটু করুণ চোখে তাকাল। কী ভেবে জানি না।
আমি বললাম, “তুই চলে যা সাইকেলে তোর বাবার সাথে। আমি হেঁটে আসছি”।
ধীরেন কাকা বুঝলেন আমি একা আছি। তাই তিনি অবশ্য আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তুই একলা আসতে পারবি তো, অমল? নাকি সবাই মিলে হেঁটে যাব?”
আমি স্টাইল মেরে বলেছিলাম, “না কাকা, তোমরা চলে যাও। আমি চলে যাব”।
বুলু চলে গেল ওর বাবার সাথে। আমি একা হন হন করে হাঁটতে লাগলাম। আমাদের স্কুলটা ছিল বাস স্ট্যান্ডের কাছাকাছি। হাঁটখোলা থেকে বেরিয়ে বাঁ হাতে রাস্তার ধারে আছে একটা কালীবাড়ি। সবাই বলে খুব জাগ্রত মা কালী। ঐ অঞ্চলে সবার সব শুভ কাজ শুরু হয় সেখানে পূজো দিয়ে। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে তাঁকেই আগে স্মরণ করে। আমরাও ছোটবেলা থেকে তাই করে আসছি। কালীমাতার আদেশে কোন মন্দির তৈরী হয়নি। ঘন জঙ্গলে ঘেরা সুন্দর এক পবিত্র স্থান। সেখানে প্রস্তরখন্ড রূপে মা বেদীতে আধিষ্ঠিতা। হয়ত কোন এক সময়ে পাথরের পূর্ণ মূর্তি ছিল, কালে ক্রমে সেটা ভেঙে ঐ রূপ পেয়েছে। তাতে মানুষের মনে ভক্তির কোন খামতি হয়নি। যাওয়া আসার পথে মানুষ ভক্তিভরে একবার মা কালীকে স্মরণ করে। আমিও মনে মনে একবার মাকে স্মরণ করে হাঁটতে লাগলাম। গ্রামের রাত দশটা মানে নিশুতি রাত। ভয় তো লাগেই। কাউকে বুঝতে না দেবার চেষ্টা করি। সামনে দূরে গোশালা গ্রামের এক’আধটা বাড়ি থেকে একটু আলো দেখা যাচ্ছে। দূরের গ্রামে কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে। দু’একটা ছোট বাচ্চা কাঁদছে তার ক্ষীণ আওয়াজ আসছে। দ্বিতীয় প্রহরের শেয়ালের হুক্কাহুয়া শেষ হয়ে গেল। আমি এক মনে মনে হেঁটে চলেছি।
পেছনে একটা সাইকেলের ঘন্টা বাজলো। আমি পাশে দাঁড়ালাম রাস্তা ছেড়ে। না হলে হয়ত অন্ধকারে আমার ঘাড়েই উঠে পড়বে। আমার এক্কেবারে পাশে এসে সাইকেল আরোহী জড়ানো গলায় জিজ্ঞেস করলো, “কে অমল? তুই এত রাতে একা কোথা থেকে”? তাঁকে চিনলাম। আমাদের গ্রামের রঘুদা। রনৌলিতে বুলুর বাবা ধীরেন কাকার বিদেশী মদের দোকানে কাজ করে। ধীরেনকাকা আগে বেরিয়ে এসেছেন। তাই সে দোকান বন্ধ করে একা ফিরছে। তার মুখ থেকে একটু হুইস্কির গন্ধও পেলাম। মালিক নেই দেখে নিশ্চয় মেরে দিয়েছে এক’দু পেগ। রাতে তার ঘুমটা ভালোই হবে।
আমি বললাম, “স্কুলে সরস্বতী পুজোর জন্য দেরী হয়ে গেল, রঘুদা”।
রঘুদা জড়িয়ে আসা গলায় শুধাল, “তুই একা আসতে পারবি তো? নাকি আমিও হাঁটব তোর সাথে”?
গ্রামের লোকেদের এই আপন বোধটাই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত। আজও মনে পড়ে সে সব কথা। শহরের যান্ত্রিকতায় লোক হ্যালো বলতেই সময় পায়না।
বললাম, “না, না, রঘুদা, তুমি চলে যাও। এই তো অর্ধেক পথ চলে এসেছি। বাকিটা চলে যাব”।
রঘুদাও টিং টিং ঘন্টি বাজাতে বাজাতে চলে গেল। সম্ভবত সেই ছিল শেষ যাত্রী আমাদের গ্রামে যাওয়ার। আমি সেই বিখ্যাত গোশালা গ্রামে ঢুকলাম। নোংরা আবর্জনা জর্জরিত পথটা তাড়াতাড়ি পার হতে হবে। সেখানেও এক দুজন জিজ্ঞেস করল, “অমল বাবু, নাকি? যেতে পারবেন একা? বলেন তো এগিয়ে দিয়ে আসব”। ওরা সবাই আমার বাবার অনুগত। আমাদের আপনজন। আমি বললাম, “না গো, এইতো বাড়ি এসে গেছি প্রায়”।
ওদের গ্রামটা পেরিয়েই আম বাগান, বাঁশ বাগান শুরু হয়ে গেল। চলবে আমাদের বাড়িতে ঢোকার ঠিক আগে পর্যন্ত। একটু এগোতেই এসে গেল সেই অশ্বত্থ গাছ। যদিও মনের কোণে আগেই এসেছিল তার অস্তিত্ব। দূর থেকে তার পাতার শিরশির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। তাকিয়ে দেখলাম আকাশ ভর্তি অসংখ্য তারা। সবুজ পাতা কালো কালো দেখাচ্ছে। আমার মনের মধ্যে অনেক বার শোনা গল্পগুলি ভির করতে লাগলো। জোর করে মনকে শক্ত করছি। গুণ গুণ করে গান গেয়ে ভয়কে জয় করার অহেতুক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম যেতে তো হবেই। যা হয় হোক।
গাছের তলায় আসতেই যেন মনে হোল গাছটার পাতাগুলো বেশী জোরে নড়ছে। কিন্তু তেমন জোরে তো হাওয়া বইছিল না। সারা গায়ে একটা ভয় মিশ্রিত শিহরণ অনুভব করলাম। গাঁয়ের রোম খাড়া হয়ে উঠল। কোনদিকে না তাকিয়ে রাস্তা দিয়ে চলতে লাগলাম। মা বলতেন, “কখনও ভয় পেলে “রাম রাম” বলবি। সব ভয় কেটে যাবে”। আমিও মনে মনে “রাম, রাম” বলতে বলতে হাঁটছিলাম। কোথাও কোন লোকের সারা নেই। কোথাও কোন শব্দ নেই। শুধু আমার পায়ের জুতোর দুপদাপ আর রেয়নের প্যান্টের খসখস শব্দ শুনছি। আমি একা সেই অন্ধকার রাতে বিশাল আমবাগানের রাস্তায় একঝাঁক জোনাকির মাঝে হেঁটে চলেছি। মনে দারুন অজানা সংশয়। ঐ নিস্তব্দতার মধ্যে একবার মনে হল কেউ যেন আমার পেছনে আসছে। কিন্তু কোন কারণেই পেছনে তাকানো যাবেনা, বড়রা বলে দিয়েছেন। পেছনে তাকালেই সে ঘাড় মটকে দেবে। গায়ের রোম আগেই খাড়া হয়ে ছিল, মনে হল কেউ যেন ফিসফিস করে কানের কাছেই কিছু বলাবলি করছে। আমি আমার হাঁটার স্পিড বাড়ালাম। হৃদপিন্ডের স্পীড তো আগেই বেড়ে গেছে। যতটা সম্ভব দৃষ্টি রাস্তাতেই নিবদ্ধ রেখে চলছিলাম। এ পাশ ও পাশ দেখাও বিপজ্জনক বলেই শুনেছি। এখনও আট’দশ মিনিটের পথ বাকী। হঠাৎ চোখের কোন দিয়ে দেখলাম ঠিক আমার ডানদিকে রাস্তার নীচে একটা কালো বিড়াল আমার সমান্তরালে হাঁটছে। ওটার গায়ের রঙ কুচকুচে কালো। আমার দিকে তাকিয়ে সামনের দিকে হাঁটছে। ওর চোখদুটো অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছিল। ভয়ে আমার গা দিয়ে ঘাম ছুটছিল ওই শীতকালেও। আমি সোজা হাঁটছিলাম এইভেবে যে ওটা হয়তো অন্যদিকে চলে যাবে। কিন্তু না, ওটা ঐ ভাবেই চলছিল। মুহূর্তের মধ্যে কালো বিড়ালের ভুতুরে গল্পগুলো, যা শুনেছিলাম আগে, মনে এলো। আমার সব সাহস মুহূর্তের জন্য উবে গেল।
কী যে হল আমার মনে নেই। আমার ভেতর থেকে একটা প্রচন্ড জোরে চিৎকার বেরিয়ে এলো বিড়ালের দিকে চোখ রেখে। সেই চিৎকার আমি আর কোনদিন বের করতে পারিনি। আমি দেখলাম আমার ঐ গলা ফাটানো চিৎকারে বিড়াল কোথায় উধাও হয়ে গেছে। আমার ভয় কিন্তু ছিলই যদি আবার ফিরে আসে। যতটা সম্ভব জোর কদমে হাঁটতে লাগলাম। দৌড়ানো যাবেনা। দৌড়ালে নাকি ওরা আরও পেয়ে বসে। ততক্ষনে বাড়ির আলো দেখতে পেয়ে গেছি। বেড়ে যাওয়া হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে লাগলো। বাড়িতে পৌঁছে অনেকক্ষন চুপ করে বসেছিলাম। মা বুঝতে পেরেছিলেন আমি ভয় পেয়েছি। আমার মাথায় ঠাকুরের পুষ্প ঠেকিয়ে বলেছিলেন, “রাত বিরেতে এখানে সেখানে একা একা যেতে হয় না। কতকিছু অতৃপ্ত ঘুরে বেড়ায়”।
পরে অনেকবার ঐ রাস্তায় একা একা অনেক রাতে এসেছি। আর কখনও সেরকম কোন পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি। সেই কালো বিড়ালের রহস্য আমি আজও বুঝতে পারিনি – বিশেষ করে আমার দিকে তাকিয়ে একটা দূরত্ব রেখে বিড়ালের চলাটা কখনই স্বাভাবিক ছিলনা।
লেখকঃ
মোহন মিত্র,
১৩সি/১৩, অনুপমা হাওজিং কমপ্লেক্স,
লেখকঃ
মোহন মিত্র,
১৩সি/১৩, অনুপমা হাওজিং কমপ্লেক্স,
ভি আই পি রোড, কোলকাতা – ৭০০০৫২
মুঠোফোন - ৯১৬৩৭৮০৭৫১