বিজ্ঞাপন

ইসলামে শ্রমিকদের অধিকার: এক মানবিক আলোচনা


 📜

ইসলাম শুধু নামাজ-রোজার ধর্ম নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে ইসলাম যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা আজকের আধুনিক শ্রম আইনকেও অনেক সময় ছাড়িয়ে যায়।


🧑‍🏭 ১. শ্রমিকের মর্যাদা


ইসলামে পরিশ্রমকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। হাদিসে এসেছে:


"নিজ হাতে উপার্জন করা রুজি হলো সর্বোত্তম রুজি।"

—(মুসনাদে আহমদ)


একজন শ্রমিক তার ঘাম ঝরিয়ে উপার্জন করছে — এটি ইসলামে গৌরবের কাজ।


💰 ২. সময়মতো মজুরি প্রদান


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন:


"তোমরা মজুরকে তার ঘাম শুকানোর আগেই মজুরি দিয়ে দাও।"

—(ইবনু মাজাহ)


👉 এতে বোঝা যায়, শ্রমিকের পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য সময়মতো দেওয়া ইসলামী ন্যায়বিচারের একটি অংশ।


⚖️ ৩. শোষণ বা জুলুম হারাম


কোনো শ্রমিকের হক মেরে নেওয়া ইসলামে চরম জুলুম। মহান আল্লাহ বলেন:


"তোমরা মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না..."

—(সূরা আল-বাকারা: ১৮৮)


শ্রমিককে কাজ করিয়ে তার মজুরি না দেওয়া বা অল্প দেওয়া একটি গুরুতর অন্যায়।


🤝 ৪. ন্যায্য পরিবেশ ও আচরণ


নবীজী (সা.) বলেছেন:


"তোমরা তাদের (শ্রমিকদের) ওপর এমন কাজের বোঝা দিও না, যা তারা সহ্য করতে পারে না। যদি দিতেই হও, তবে তাতে তোমরা নিজে সাহায্য করো।"

—(বুখারী ও মুসলিম)


👉 এটি প্রমাণ করে, কর্মস্থলে শ্রমিকদের সাথে সহনশীল, সদয় ও মানবিক আচরণ করা ইসলামী আদর্শ।


🕌 ৫. শ্রমিক ও মালিক — উভয়ই দায়িত্বশীল


ইসলামে শ্রমিক এবং মালিক — উভয় পক্ষের প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে। যেমন:


শ্রমিক সৎভাবে কাজ করবেন।


মালিক ন্যায্য মজুরি দেবেন এবং অবিচার করবেন না।


✅ উপসংহার


🔸 ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠন করতে চায়, যেখানে শ্রমিক নিপীড়িত হবে না এবং মালিকও ঠকবে না।

🔸 আমাদের উচিত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকদের সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করা।

🔸 এটি শুধু ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক ও সামাজিক ন্যায়ের দাবিও বটে।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Advertisement