সবুজ বন্ধু | মুহম্মদ কবীর সরকার
ছোট্ট মেয়ে মীম। কত কিছুই না তার জানার বাকি! বাবা,কখনো মা ও স্যারদের প্রশ্ন করে। দিন দিন যেন তার জানার কৌতূহল বেড়েই চলছে! সব কিছু জানার আগ্রহ দেখে স্যার, বাবা-মা সবাই তাকে ভালোবাসে। তাই মজা করে স্যার একদিন তাকে ক্ষুদে আইনস্টাইন বলেছিল, সেই থেকে তাকে সবাই ক্ষুদে আইনস্টাইন বলে। এতে মীমের ভালোই লাগে! সবাই তাকে এটা বলে রাগাতে চায় মীম আরো খুশি হয়। অথচ কেউ জানে না আইনস্টাইন কি বা কে!
মীম:স্যার মনে করেন পৃথিবীতে শুধুই একটা গাছ আছে,তাহলে পৃথিবীতে কোনো মানুষ বেঁচে আছে কি?
স্যার : আছে তো?
মীম: কে স্যার?
স্যার: কেন, যে জানে একটা গাছ পৃথিবীতে আছে সে অর্থাৎ যে আমায় প্রশ্ন করে সে-ই মেয়ে, মীম তুমি!
মীম: তাহলে আর কেউ বেঁচে আছে কি?
স্যার: তুমি আমাকে জানিয়েছো গাছটা বেঁচে আছে, তাহলে আমিও তোমার কবীর স্যারও সাথে বেঁচে আছি।তাহলে হবে কি জানো, গাছ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে আর আমরা গাছকে বাঁচিয়ে রেখেছি। গাছের প্রয়োজনে আমরা বাঁচি, আমাদের প্রয়োজনে গাছ বাঁচে।
তখন ক্লাসের সকল ছাত্র-ছাত্রী হাসাহাসির উৎসবে মেতে উঠলো কিন্তু মীম হাসিনি মীম ভাবছে,' হয়তো একটা গাছ থাকলে কোনো মানুষও বাচঁতে হবে অথবা কোনো প্রাণী ।' মীম স্যারকে আবারও প্রশ্ন করলো,স্যার কিভাবে?
স্যার :মীম দেখ, আমরা যদিও গাছের ওপর খাবারের জন্য সরাসরি অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল ঠিক সে-ই রকম গাছ ও আমাদের ওপর সরাসরি না হোক পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। যা আমরা চোখে দেখিনা। আমাদের বেঁচে থাকতে গেলে যেমন,ফল,সবজি ও অক্সিজেন দরকার তেমনি গাছের বেঁচে থাকার জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড দরকার। যা মানুষের প্রশ্বাসে বের হয়ে আসে। আর তুমি যেহেতু জানোই একটা বেঁচে আছে তাহলে তুমিও বেঁচে আছো। আজ এখানেই ছুটি...
আজ মীমের জন্মদিন। স্যার মীমকে উপহার দিল একটি পেয়ারা গাছের চারা আর অনেক চকলেট ।মীম অনেক খুশি হল। তার সখ গাছ লাগানো।তার একটা বাগান আছে।সেখানে নানা প্রজাতির গাছ আছে।
মীম স্যারকে জিজ্ঞেস করলো,'স্যার আমার জন্মদিনে গাছ উপহার দিয়েছেন কেন?'
স্যার বললো, " কেন তুমি খুশি হওনি?"
মীম : অনেক খুশি হয়েছি স্যার।
স্যার বললো,'তুমি তো জানো গাছ আমাদের অক্সিজেন(O2) দেয়।আর অক্সিজেন হল মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রথম ও প্রধান উপাদান। খাদ্যও বলতে পারো। যেমন আমরা খাবার খায় সেই রকম-ই, তুমি একদিন ভাত না খেয়ে অন্য কিছু যেমন কলা, আপেল খেয়ে থাকতে পারো কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারবে না।এর বিকল্পও কিছু নেই। নাক,মুখ চেপে ধর দেখ,বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারবে না।অক্সিজেন আমাদের শ্বাসের সাথে ভিতরে গিয়ে রক্তচলাচলে সহযোগিতা করে। গাছ থেকে যদি আমরা অক্সিজেন না পেতাম তাহলে বেঁচে থাকতে পারতাম না। আর আমি চাই প্রতি জন্মদিনে তুমি নিজ হাতে একটি করে গাছ লাগাও।তাতে করে কি হবে জানো?
-কী হবে স্যার?
তাতে ধরে নিবে তুমি নিজ হাতে গাছ লাগিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নিজেই যোগান দিচ্ছো।
তাছাড়া প্রতিটি দেশে চারভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ২৫% গাছ থাকা দরকার।আমাদের কিন্তু নেই!মানুষ গাছ কেটে কেটে ঘরবাড়ি বানাচ্ছে।
তারপর মীম তার স্যারের সহযোগিতায় বাগানে পেয়ারার চারাটি লাগালো।
মীম জানে গাছকে নিয়মিত পানি দিতে হয়, আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। মীম তাই-ই করতে লাগলো। অবসর সময় পেলে-ই গাছ আর মীম। যেন গাছ তার বন্ধু হয়ে গেল।
অবসরের এক দুপুরবেলায় মীম গেল পেয়ারা গাছে পানি দিতে।
গাছ বললো, 'মীম আমাকে একটু সাহায্য করবা?'
মীম :কী সাহায্য বন্ধু?
গাছ:ইদানীং আমি খাবার তৈরী করতে পারছি না।
মীম: খাবার তৈরী মানে? তোমাদের খাবার তো শুধুই পানি।যা আমি প্রতিদিনি দিচ্ছি। আর কবীর স্যার বলেছিল কার্বন ডাইঅক্সাইডও নাকি খাও।
গাছ: শুধুই পানি-ই আর কার্বন ডাইঅক্সাইড না।আমরা আরো অনেক কিছু-ই খাই! আর আমরা নিজেদের খাবার নিজেরাই তৈরী করি।আমরা তোমাদের ওপর নির্ভরশীল না,বরং তোমরা আমাদের ওপর নির্ভরশীল।যেমন আপেল,কলা, শাক সবজি সব আমাদের দান।
মীম: মিথ্যে বকোনা তো। আমি প্রতিদিন পানি দেয়, আর তুমি বলছো আমি তোমার ওপর নির্ভরশীল?
গাছ : পানি কি তুমি বানিয়ে দাও? আর তোমাদের খাবার তো আমরা উৎপাদন করি! তোমাদের অপ্রয়োজনীয় পানি টুকু আমাদের দিলে-ই চলে।
মীম: তোমার সাথে কথা বলে পারবো না বাপু। আর হ্যা কি জানি সাহায্য চাচ্ছিলে।তাছাড়া তোমরা পানি ছাড়া আর কি খাও?
গাছ: বলছি বাপু বলছি! আমরা পানি ছাড়া সূর্যের আলো ও কার্বন ডাই অক্সাইড খাই। পানি, সূর্যের আলো ও কার্বন ডাইঅক্সাইড(CO2) দিয়ে খাবার তৈরী করি, যাকে বলে সালোকসংশ্লেষন।
মীমঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড কী গো চিনলাম না তো?
গাছ: তোমরা যেটা গ্রহণ কর মানে শ্বাস নাও সেটা হচ্ছে অক্সিজেন।আর যে গরম গ্যাসটা বর্জন কর সেটা-ই হচ্ছে কার্বন ডাইঅক্সাইড। যা আমাদের খাদ্য।
মীম: এই তুমি বললে একটু আগে তোমরা আমাদের ওপর নির্ভরশীল নয়, এই তো আমাদের থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড ঠিকি নিচ্ছো।
গাছ : আমরা যদি কার্বন ডাইঅক্সাইড না গ্রহন করতাম তাহলে তো তোমাদের-ই ক্ষতি হত। বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যেতো অক্সিজেনের অভাবে মারা যেতে। তাছাড়া কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে গেলে মেরু অঞ্চল নামক অঞ্চল আছে যেখানে প্রচুর বরফ আছে, তা গলে সমুদ্রের জল বেড়ে যেত এবং তোমাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও নিম্ন ফসলি জমি তলিয়ে যেতো। এই মীম তুমি খবরকাগজ পড়োনা বুঝি। আরো শুনো বিজ্ঞানীরা বলছে, " বর্তমানে যে হা কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ছে তাতে করে সাগরের পানির উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার বেড়ে গেলে আমাদের ভূভাগের ১০.৯ শতাংশ বন্যায় তলিয়ে যাবে এবং ৫.৫ মিলিয়ন লোক গৃহহীন হবে।"
মীম: এর থেকে বাঁচার উপায় কি বন্ধু?
গাছ: বিনা কারণে গাছ কাটা চলবে না। অযথা বিদ্যুৎ শক্তি যেমন পাখা, বালব, টিভি লাগিয়ে রাখা যাবে না এবং মোটরযান গাড়ি কম ব্যবহার করে হেটে অথবা বাইসাইকেল ব্যবহার করতে হবে। এইভাবেই তোমাদের প্রিয় দেশ ও পৃথিবীটিকে তোমরায় রক্ষা করতে পারবে!
মীম: তাহলে আমাদের এখন থেকে কি পদক্ষেপ নিতে হবে?
গাছ: তোমরা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি অথবা আরো ছোট ভাইদের নিয়ে স্যারদের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্লোগান বানিয়ে সকলকে সচেতন করতে পারো!
মীম: দারুণ আইডিয়া। আজই বিষয়টি কবীর স্যার ও প্রধান শিক্ষককে বলবো।
ঠিক আছে তাহলে যায় গাছ বন্ধু! ও হে তুমি কি যেন সাহায্যের কথা বলছিলে?
গাছ: আমার ওপর সূর্যের আলো পড়ছে না বেশ কিছুদিন ধরে, তুমি যদি ওপরের ঢালটা কেটে দিতে?
মীম: কই! তোমার ওপরে তো রোদ লাগে?
গাছ: ওপরে লাগে পাতায় লাগে না। আমার পিঠ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তা কোনো কাজে আসে না যদি পাতায় না পড়ে। আমরা সূর্যের আলো খাই অর্থাৎ শোষণ করি গাছের সবুজ পাতা দিয়ে। যাতে থাকে ক্লোরোফিল।ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক আলোকশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং তা উৎপন্ন শর্করাজাতীয় খাদ্যের মধ্যে স্থিতিশক্তি রূপে জমা রাখি। ক্লোরোফিল সবুজ পাতায় আছে। গাছের ছালে বা মূলে নেই।
ছয় অনু কার্বন ডাইঅক্সাইড(6CO 2)
বারো অনু পানি(12H 2 O)
ও সূর্যের তাপ একসাথে মিলে বিক্রিয়া করে গ্লুকোজ( C 6H 12 O 6)
এর সাথে ছয় অনু পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড অনু সমান অক্সিজেন উৎপন্ন করি।
মীম জানো আমরা যতটুকু কার্বন ডাইঅক্সাইড তোমাদের থেকে গ্রহন করি ঠিক ততটুকু অক্সিজেন ত্যাগ করি।
মীম :আজ জানলাম, আর আমরা তো জানতাম, গ্লুকোজ মানেই একপ্রকার মিষ্টি জাতীয় কিছু?আজ জানলাম সেটা তোমরাই উৎপন্ন করো।
গাছ: হ্যা আমরা-ই, প্রতিটি মিষ্টি ফলে গ্লুকোজ থাকে।
মীম: তুমি আমাদের জন্য এত কিছু উৎপাদন করো!
আমি আব্বুকে বলবো ওই গাছের ঢাল টা কেটে দিতে এখন আসি বন্ধু।
এখন মীম বড় ক্লাসে উঠেছে তাই গাছকে সেই রকম গাছের সাথে গল্প জমে উঠেনা, পড়াশোনায় ব্যস্ত। তবুও একবার হলেও এসে দেখে যায়।
মীম স্কুলে যাবে এমতাবস্থায় গাছ ডেকে বললো,' মীম কিগো! সেই সকাল থেকে বসে আছি তোমার সাথে গল্প করবো বলে,আর তুমি স্কুল,প্রাইভেট। আমাকে সময়-ই দিচ্ছো না।
মীম: তুমিও চলে আসো আমার সাথে স্কুলে, বেশ মজা হবে তাইনা? তাছাড়া তোমার গল্প গুলি বড্ড অচেনা ও অজানা হয় গো।
গাছ : বা....ড়ে, আমার যে তোমার মত দুটো পা নেই।শুধুই একটা পা। তাও আবার মাটির নিচে লেগে আছে। আর অজানাকেই তো শুনেছি মানুষ জানতে চাই।তুমি জানতে চাও না?
মীম:চাই তো!তোমার ভাষা কঠিন কিনা!আচ্ছা বাপু, বিকেলবেলায় শুনবো। আমার যে বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে গো। এখন আসি...।
গাছ: যাও, যাও বিকেল করে আসিও কিন্তু...
বিকেলে মীম আসলো...
গাছ: জানো, আজ সকালে আমাতে মুকুল(ফুলের কলি) এসেছে। বেশ কিছু ফুটেছিলও। জানো সে জন্য মৌমাছি ও প্রজাপতিরা এসে গল্প করে গেছে।
মীম : তাই-ই নাকি! আমরা জানি মৌমাছি মধু খায়, তুমি বলছো গল্প করে করে গেছে।
গাছ: হ্যা ঠিক বলেছো। তবে শুধু মধু-ই খায়না।তারা আমাদের ফুলকে ফলে পরিণত করতে সাহায্য করে।
মীম : দারুণ তথ্য দিচ্ছো বন্ধু। ধন্যবাদ বন্ধু।
গাছ: শুনুইনা।আর তোমরা শুধুই ধন্যবাদ দিতে জানো আর কিছুই পার না। আমাদের ফুলে পরাগরেণু ও পরাগধানি থাকে। যখন মৌমাছিরা মধু খায় তখন তারা পরাগধানী থেকে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে নিয়ে যায়,তাই ফুল থেকে আমাদের ফল হয়।
মীম: তাহলে কালকে মৌমাছি ও প্রজাপতি আসলে আমার তরফ থেকে সালাম জানিও বন্ধু।
গাছ: আচ্ছা জানাবো বন্ধু।
তারপর মীম আর গাছের মধ্যে কত কথোপকথন যে হল। ফুল থেকে ফল হল। এই ভাবে-ই চলে গেল বেশ কিছুদিন।
তারপর একদিন বিকেলে...
জানো মীম আজ এক ক্ষুধার্ত পাখিকে লাল পাকা পেয়ারাটা দিয়ে দিয়েছি। তুমি রাগ করো নি তো?
মীম: রাগ করবো কেন? তোমার ফল তুমি যাকে খুশি তাকেই দিতে পারো।
গাছ : তুমি তো বলেছিলে নিবে।যাজ্ঞে,জানো পাখিটির কষ্টের কথা শুনে আমিও না করতে পারি নি । সে নাকি দক্ষিণের জঙ্গল থেকে এসেছে। অনেক ক্ষুধার্ত ছিল। সে-ই জঙ্গলে নাকি কিছু দুষ্টু লোক আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেখানে পাখিটির দুটো ছানা ও তার স্ত্রী ছিল। তাদের সন্ধান আর সে পাইনি।দুষ্টু লোকেরা অনেক গাছ পুড়িয়ে ফেলেছে।
মীম: তাহলে আব্বু যে বললো প্রতিটি দেশে ২৫ভাগ বন থাকা প্রয়োজন। আমাদের ২৫ ভাগ থেকে ১৭ ভাগ আছে।এর মধ্যে আবার বন ধ্বংস!
গাছ: হ্যা মীম, বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। বাতাস মানুষের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে মানুষের মাঝে নতুন নতুন রোগ জন্ম নিচ্ছে।
মীম: তাহলে আমরা কী করবো বন্ধু?
গাছ: বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে, বন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মানুষকে বুঝাতে হবে গাছের উপকারের কথা। একটা গাছ কাটলে দুটো গাছ লাগাতে হবে।
মীম: আচ্ছা বন্ধু তাই হবে।
তারপর একবছর চলে গেল...
বাবা বাজার থেকে পেয়ারা কিনে আনলো। মীম পেয়ারা দেখে চোখের জল ধরে রাখতো পারলো না। মীমের মনে পড়ে গেল গাছ বন্ধুর কথা। গাছ বলেছিল, 'বন্ধু, তুমি এই পেয়ারাটা খাও,
যাতে আছে ভিটামিন সি। চারটা কমলায় যতটুকু ভিটামিন পাওয়া যায় ঠিক ততটুকু একটা পেয়ারায় পাওয়া যায়।আর ভিটামিন সি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া যে কোন ইনফেকশন থেকে পেয়ারা শরীরকে সুস্থ রাখে।' মনে পড়ে গেল সেই স্বজন হারানো পাখিটির কথা।আজ সে-ই পাখিটির মত মীমও তার প্রিয় বন্ধুকে খুঁজে ফিরে আজও।
একদিন বাবা বিল্ডিং তুলবে বলে তার প্রিয় বন্ধুকে হত্যা করলো। কতবার যে বারং করেছিল মীম।তার কথা কেউ শুনেনি।
বাবা এসে মীমকে বললো, 'মীম কাঁদছ কেন? তোমার কি গাছবন্ধুর কথা মনে পড়েছে?'